শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০৯ অপরাহ্ন

ফরিদপুরে বাবার ধর্ষণের শিকার হয়ে এক নাবালিকা মেয়ের গর্ভপাত

মো: সামাদ খান, ফরিদপুর প্রতিনিধি:: ফরিদপুরের খলিলপুর গ্রামের এক পাষন্ড বাবার ধর্ষণের শিকার হয়ে এক নাবালিকা মেয়ের গর্ভপাত করা হয়েছে।

ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার মাচচর ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রাম ভুমিহীনদের আশ্রয় প্রকল্পে থাকা নাসির শেখ পাচ্চল্লিশ তার নিজ মেয়ে রিক্তা আক্তার বিথীর (১৪) সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, রিক্তা আক্তার বিথী জানান, যে তার পিতা মোহাম্মদ নাসির শেখ তাকে ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করেন যার ফলে তিনি গর্ভবতী হন। গত ১৫ মে ফরিদপুর মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে তার গর্ভপাতে কন্যা সন্তান জন্ম হয়। তার মাতা আলেয়া বেগম ৪০ ওই হাসপাতালের একজন নার্স এর মাধ্যমে শিশুটিকে বিক্রি করে দেন।

বিথী আরো বলেন, এই গুচ্ছগ্রামে তারা দুই বছর যাবত বসবাস করেন রিক্তার মা আলেয়া বেগম অন্যর বাড়িতে কাজ করেন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিক্তা আক্তার বীথিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করতেন তার বাবা এবং তাকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে বলতো এই কথা কাউকে বললে তোকে ছুরি দিয়ে জবো করে মেরে ফেলবো। ভয়ে রিক্তা এই কথা কাউকে জানায় নি অবশেষে সত্যটা সামনে বেরিয়ে আসলো রিক্তা গর্ভবতী হয়ে বাচ্চা প্রসব করার পর রিক্তা বলেন এই বিষয়ে তার মা তাকে কোন মামলা করতে বলেননি বা যেতেও দেননি

স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, তারা রিক্তার বাবা মোহাম্মদ নাসির শেখকে আটক করে রাখেন তখন স্থানীয় ইউ পি মেম্বার রশিদ মোল্লা তাকে ছেড়ে দিতে বলেন এবং আরো বলেন যে আমি সন্ধ্যার সময় এসে বিষয়টা সমাধান করব। কিন্তু দুইদিন হয়ে গেলেও মেম্বার আসেনি স্থানীয় প্রতিবেশি সহ অনেকেই বলেন যে রশিদ মেম্বার ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য নাসিরের পক্ষ নিয়ে নাসিরকে সুকৌশলে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

স্থানীয় পাশের আরেকজন সুজন শেখ বলেন, আমাকে নাছির সেখ ১০ হাজার টাকা অফার করে বলেন যে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অন্য আর একজন মাহফুজ শেখ তিনিও বলেন যে রিক্তার বাবা মোহাম্মদ নাসির শেখ আমাকেও ১০০০০ টাকা অফার করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বলেন। স্থানীয় জনগণ বলছেন যে মেম্বার এই ঘটনার নাসির শেখকে বাঁচানোর জন্য বা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।

স্থানীয় প্রতিবেশী মহিলা সহ অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে বলেন, এই নাছির মানে বিথীর বাবা একজন দুশ্চরিত্র খারাপ মানুষ এখানে তিনি নেশা ভান বিক্রি করেন এবং নেশা করেন এবং চুরি-ডাকাতিও করেন মাঝে মধ্যে এর কঠোর শাস্তি এবং বিচার দাবি করেন এলাকাবাসি।

ভুক্তভোগী রিক্তার বলেন, এই ঘটনা আমার বাবা ঘটিয়েছেন আমি তার কঠিন বিচার চাই আইনের মাধ্যমে। তাকে প্রশ্ন করা হলে থানায় কোন অভিযোগ করেছে কিনা উত্তরে বিথী বলেন আমার মা আলেয়া বেগম উনি ভালো জানেন উনি আসলে আমরা থানায় অভিযোগ করব এবং আমি সরকারের কাছে এবং আইনের কাছে আমার বাবার কঠিন বিচার শাস্তির দাবি করি।

এদিকে স্থানীয় মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মেম্বার ঘটনাকে না জানার ভান করে বলেন যে আমি ঘটনাটি শুনেছি আমি মীমাংসা করার চেষ্টা করব দুজনকে একসঙ্গে হাজির করতে বলেছি মেয়েটির মাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com